প্রকাশিত: ০৩/০৩/২০১৭ ১০:৩০ এএম

ফারুক আহমদ :
অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রায় যোগ হচ্ছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। উন্নত বিশ্বের আদলে নির্মিত সমুদ্রের কুল ঘেসে নান্দনিক মেরিণ ড্রাইভ সড়কটি পর্যটকদের আনন্দ উচ্ছাস বাড়িয়ে দেবে। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য্য আহরণ করার হাত ছানিতে দেশী-বিদেশী পর্যটকরা অভিভূত হয়ে বিশাল সমুদ্রের বুকে সূর্যস্থের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে পারবে সহজে। এ মহা মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ১৬ইসিবি।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৪শত ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিণ ড্রাইভ সড়কটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গত ১২ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারের একটি অনুষ্ঠানে পরিবহন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের বলেছেন, আগামী এপ্রিল মাসে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের মেরিণ ড্রাইভ সড়কটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবেন। এতে করে পর্যটন শিল্প বিকাশে সহায়তার পাশা-পাশি পর্যটকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত পরিদর্শনে বহুমাত্রা যোগ হবে।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পকে আরো বিকশিত করতে কক্সবাজারকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নেওয়া হয়েছে পর্যটন বান্ধব কর্মসূচী। তৎমধ্যে মেরিণ ড্রাইভ সড়ক দেশী-বিদেশী পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। গত ২০ ফেব্রুয়ারী ইনানী সি-পার্ল হোটলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞনিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ কথা গুলো বলেছিলেন। প্রকলদায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের সংঘে টেকনাফকে সংযুক্ত করতে বিদ্যমান ৪৮ কিলোমিটার সাগর ও পাহাড় ঘেরা সড়কটি উন্নয়নে প্রাথমিক ভাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সড়কের দৈঘ্য আরো ৩২ কিলোমিটার বাড়ানোর পাশা-পাশি ভূমি অধিগ্রহণ সহ আরো বিভিন্ন কাজ অর্ন্তভূক্ত করা হয়। ফলে ব্যয় বেড়ে গিয়ে ৪শত ৫৬ কোটি টাকাতে দাঁড়ায়। এতে মেয়াদ বর্ধিত করেন ২০১৮সাল জুন পর্যন্ত।
এদিকে মেরিণ ড্রাইভ সড়কটি পর্যটক বান্ধব করতে দু’পাশে থাকবে ওয়াকওয়ে। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের সুবিধার্থে সড়ক জুড়ে থাকবে শেড, গাড়ী পার্কিং, চেঞ্জিন রুম। আরো থাকবে ফ্লেক্সিবল, পেভমেন্ট।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিণ ড্রাইভ সড়কে ৩টি বড় আরসিসি সেতু, ৪২টি বক্স কালভার্ট, ৩ হাজার মিটার সসার ড্রেন এবং ৫০ হাজার মিটার সিসি ব্লক ও জিও টেক্সটাইলও।
সূত্রে আরো জানায়, ৩ ধাপে মেরিণ ড্রাইভ সড়কটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে কলাতলী থেকে ইনানী পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার, দ্বিতীয় ধাপে ইনানী থেকে শীলখালী পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার। মেরিণ ড্রাইভ সড়ক ইতি মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেছে। তৃতীয় ধাপে চলছে শীলখালী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার।
সুশীল নাগরিক সমাজের মতে মেরিণ ড্রাইভ সড়কটি পর্যটন শিল্প বিকাশের পাশা-পাশি মিয়ানমারের সঙ্গে সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখবে।

পাঠকের মতামত

সন্তান কোলে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে, পরকীয়ায় স্ত্রী পালানোর ‘জবাব’ দিলেন স্বামী

দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ এলে অনেকেই ভেঙে পড়েন, অনেকে দীর্ঘ সময় বিষণ্নতায় কাটান। তবে মুন্সিগঞ্জের কামাল ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদার বিষয়ক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদার করণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিশেষ ...

নাফ নদের ৩৩ কি.মি. ও সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ২০ কিমিতে বসেছে ৬ রাডারসীমান্ত ও সমুদ্রে নজরদারিতে রাডার ড্রোন থার্মাল ক্যামেরা

এবার দেশের সীমান্ত ও সমুদ্র সুরক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নজরদারি রাডার, ড্রোন ও থার্মাল ক্যামেরা যুক্ত ...

তদন্তের নির্দেশ চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজিকেটেকনাফে হত্যা মামলার এজাহার পাল্টে দিল পুলিশ

কক্সবাজারের টেকনাফে একটি হত্যা মামলার এজাহার পুলিশ কর্মকর্তারা পরিবর্তন করে দিয়েছেন- এমন অভিযোগে আদালতে মামলা ...

ইউএনএইচসিআর ’এর প্রতিবেদনবাংলাদেশে নতুন অনুপ্রবেশকারি রোহিঙ্গা দেড় লাখের বেশি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত পুনরায় শুরু হওয়ার ফলে ২০২৩ সালের ...